Friday, January 21, 2011

মহাচৈতন্যের খোঁজে

আমি যে চেতন তার প্রমান কি? আমার চেতনা কি প্রমানসাপেক্ষ? যদি তাই হয়ে তাহলে সেটা প্রমান করা যায়ে কি ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে, আমাদের প্রথমে প্রশ্ন করতে হবে প্রমান প্রক্রিয়াটি কি? প্রমান করার জন্য কি এক দ্রষ্টা জরুরি? বিজ্ঞান বলে যে কোনো সত্য দ্রষ্টা-নিরপেক্ষ হওয়া জরুরি, নাহলে তাকে সত্য বলে গন্য করা চলে না৷ তবে দ্রষ্টা ছাড়া সত্যতা যাচাই করবে কে? বিজ্ঞানের প্রতিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো দ্রষ্টার অভিগ্যতার(observation) উপর নিভরশীল এবং একা সেই দ্রষ্টা থাকাটাও যথেষ্ট নয় বিজ্ঞান বলে, বিজ্ঞানী যে সত্য কে অনুধাবন করেছে, সে সত্য এক অবৈজ্ঞানিকও একই ভাবে অনুধাবন করতে পারবেন অথচ বিজ্ঞান নাকি দ্রষ্টা-নিরপেক্ষ?

তবে, যে কোনো দ্রষ্টা হলে কি চলবে? সেই দ্রষ্টা কি রকম হওয়া চাই? বিজ্ঞান সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি নয় তবে আমরা এটা বুঝতে পারি, দ্রষ্টা রোবট (robot) হলে চলবেনা কেন চলবেনা? এ প্রশ্ন স্বাভাবিক উত্তরটাও খুব স্বাভাবিক, কারণ রোবট সচেতন নয় তার প্রতিটি গতিবিধি ভাবনা চিন্তা কিছু নিয়মে অবধ্য, যা তার কারিগর অনায়াসে বলে দিতে পারেন সোজা কথাযে, রোবটের নিয়মগুলি বদলে দিলে সত্যটাও বদলে যায়ে এর থেকে বোঝা যায়ে, দ্রষ্টার চেতনা থাকা জরুরি সেই দ্রষ্টা কোনো নিয়মে বধ্য থাকেনা কোনো নিয়ম দিয়ে তার ভাবনা-চিন্তা নির্ধারণ করা যাবেনা
মজার ব্যাপার, এই একই যুক্তি চেতনা যাচাই করার ক্ষেত্রেও খাটে তবে একটা কথাও গন্ডগোল আছে? গন্ডগোলটা চেতনা যাচাইয়ের জন্য যে দ্রষ্টা জরুরি, তার চেতনা নিয়ে সমস্যাটা অনেকটা 'মুরগি আগে না তার ডিম আগে'-এর মতো চেতনা যাচাই করার জন্য যদি চেতন দ্রষ্টার দরকার পরে, তাহলে সেই দ্রষ্টার চেতনাও তো প্রমান সাপেক্ষ? তাহলে কি এক মহাচেতনার প্রয়োজন? সেই মহাচেতনাময় দ্রষ্টাই আদি-দ্রষ্টা তিনি ছিলেন, আছেন,থাকবেন সেই মহাচেতনার চেতনা প্রমান করার চেষ্টা বৃথা সব চেতনার উর্ধে তিনি সব চেতনাই তার থেকে প্রমান হয়ে, তা৺র চেতনাই প্রমান করা যায়েনা

আমার এই রচনাটি, বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়ের লেখা " বিজ্ঞান ও বিশ্বচৈতন্য " নামক এক অসাধারণ বই দ্বারা অনুপ্রেরিত! বইটি সংগ্রহ করার জন্যে লেখককে যোগাযোগ করতে পারেন এই ভাবে:
বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়
২৫সি , তারাশঙ্কর সরণী
কলকাতা -৭০০০৩৭
দূরভাষ : +(91)9674207410
+(91)(033 )25329866